শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

সুন্দরগঞ্জে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেওয়ায় ৫০টি পরিবার অবরুদ্ধ

Reading Time: 2 minutes

হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে বাঁশের বেড়া ও মাটি খুড়ে গর্ত করে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। এতে সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে শান্তিরাম ইউনিয়নের পরাণ গ্রামের ৫০টি পরিবার।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, জমি সংক্রান্ত জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে ৫০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে অবরুদ্ধ ওই পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। ঝিনিয়া বাজার ও শহরে আসার পথের ২টি স্থানে বাঁশের বেড়া ও মাটি খুড়ে গর্ত করে রাখা হয়েছে। এই পথ দিয়ে ওই গ্রামের মানুষজন যাতায়াত করেন। এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুলসুম বেওয়া (৬৫) বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ বন্ধ করা পথ দিয়ে ধান বাড়ি আনত। ৫০ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। তখন থেকেই দেখছেন এই পথে ওই এলাকার মানুষজন যাতায়াত করেন।
ভুক্তভোগী হাজর আলী বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে যাতায়াত করছি এবং আমার বাপ-দাদারা এই পথ দিয়ে যাতায়াত করত। আমার প্রতিবেশীরা হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। একমাত্র এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানান, ৫০টি পরিবারের সদস্যরা গ্রামের দিনমজুর, কৃষক ও কয়েকজন শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। যে ব্যক্তিরা রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তারা হলেন স্থানীয় প্রভাবশালী পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত- মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে মুকুল মিয়া, মশিউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে গোলাম আজম ও মৃত মজনু মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া। এলাকাবাসীর দাবি প্রায় ১০০ বছর ধরে ওই রাস্তাটি দিয়ে পরিবারগুলো চলাচল করছে। এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতায়াত করে থাকে। সাত দিন ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে ঝিনিয়া বাজার করতে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ও থানা অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। বেড়া দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে মুকুল মিয়া বলেন, পুরো এলাকার বেশির ভাগ জমি আমাদের ছিল। রাস্তার পুরো জমিটি এখনো আমাদের। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেছেন। আমাদের প্রয়োজন হওয়ায় এখন জমিতে রাস্তা আর দেব না। তিনি আরও বলেন, কোনো মতেই তিনি অবরুদ্ধ লোকজনদের এই পথ ব্যবহার করতে দেবেন না।
এ বিষয়ে শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান খোকন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যেই যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে ঝামেলা। মীমাংসা করার চেষ্টা করব।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com